সুন্দর ও আকর্ষণীয় চুল পেতে আমরা কে না চাই! সুন্দর চুল পেতে আমরা বাজারে নানান নামিদামি ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে ঘরোয়া বিভিন্ন টোটকা ব্যবহার করে থাকি। তবে সেগুলা ব্যবহার করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে চুল কালার বা রং করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চুলের রং হলো এমন এক পণ্য যা রাসায়নিক ব্যবহার করে চুলের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তন করে দেয়।
চুলের রঙের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। যেমন স্থায়ী রং, আধা-স্থায়ী এবং অস্থায়ী রং। কিছু লোক চুলের রং ব্যবহার করে তাদের ধূসর চুল ঢেকে রাখতে। কেউ কেউ আবার তাদের চেহারা বাড়াতে বা তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে চুলে কালার ব্যবহার করে। তবে চুলে এই কালার ব্যবহার করা জনপ্রিয় হলেও এর ক্ষতির পরিমাণই তুলনামূলক বেশি। আসুন এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে সেসকল তথ্য জেনে নেই –
কালার কেন চুলের জন্য ক্ষতিকর ?
চুলকে সাজাতে বা পাকা চুল ঢাকতে বর্তমানে কালার ব্যবহার যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণত চুলে তিন রকমের হেয়ার কালার ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় টেম্পোরারি হেয়ার কালার।
এই রংগুলো আবার বেশি দিন চুলে থাকে না। এক থেকে দু’বার শ্যাম্পু করার পরই চলে যায়। তবে টেম্পোরারি হেয়ার কালার কিছুটা হলেও নিরাপদ। কারণ এতে রাসায়নিকের পরিমাণ অনেক কম থাকে। কিন্তু যে হেয়ার কালারগুলো একটু বেশি দিন পর্যন্ত থাকে সেগুলো থেকেই প্রধানত ত্বকের ক্ষতি হয়। এই রং সাধারণত এক মাসেরও বেশি দিন পর্যন্ত থেকে যায়। আর যে কালারগুলো ‘পার্মানেন্ট’ হয় সেই কালারগুলো সব থেকে বেশি ক্ষতিকারক হয়।
এর মধ্যে রাসায়নিক উপাদান বেশি মেশানো থাকে, যার থেকে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা শুরু হয়। চুল ঝরে যাওয়া, গলা ও ফুসফুসের সমস্যা, মাথার ত্বকে অ্যাল্যার্জি, চোখের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, চুলে খুব বেশি কালার ব্যবহার করা উচিত না। আর ব্যবহার করলেও টেম্পোরারি কালার ব্যবহার করা উচিত।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা চুলে পার্মানেন্ট কালারের প্রভাব নিয়ে লক্ষাধিক মানুষের ওপর একটা সমীক্ষা করেছিলেন। যাতে দেখা যায়, শতকরা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ মহিলা চুলে হেয়ার কালার ব্যবহার করেন। অনেকের চুল না পাকলেও শখের জন্য রং লাগান। চল্লিশ বছরের বেশি বয়সের পুরুষদের মধ্যে ১০ শতাংশ চুলে রং ব্যবহার করেন। আর এতে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
সাধারণত পার্মানেন্ট হেয়ার কালারে অ্যামোনিয়া, পাইরক্সাইডের মতো রাসায়নিকের উপাদানে ভরপুর থাকে। এগুলো চুলের সঙ্গে মিশে মানুষের শরীরে ঢুকে যায় এবং ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত রং ব্যবহার করা মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যানসার, স্কিন ক্যানসারের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
চুল কালারের আগে যেসব জানা জরুরি
বর্তমান সময়ে বাহারি রঙের চুল ফ্যাশনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাদামি, নীল, বেগুনি, গোলাপি, কমলা, লাল ইত্যাদি রং দিয়ে অনেকেই এখন চুল রাঙাতে পছন্দ করেন। বর্তমানে চুলে কালার করার চাহিদা অনেক বেড়েছে। হেয়ার কালার আপনার লুক অনেকটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে।
এ কারণে সেলুন ও পার্লারগুলোতেও সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে ঈদ বা যেকোনো বড় অনুষ্ঠানের আগে ভিড় আরও বেড়ে যায়। চাইলে আপনি বাড়িতেও খুব সহজে আপনার চুলকে কালার করতে পারেন। তবে চুল রাঙানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। আসুন জেনে নেই কী কী-
- প্রথমবার কালার করার আগে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। না জেনে চুল কালার করালে অনেক সময়ই সেনসিটিভ স্ক্যাল্পের ক্ষতি হতে পারে।
- চুল রং করা একটু কঠিন কাজ মনে হয় কিন্তু এটি আসলে ততটা কঠিন নয়। এখন বাজারে চলতি সরাসরিই ব্যবহার করা যায় এমন অনেক রং রয়েছে, যা আলাদা করে মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হয় না।
- চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কোন রং ভালো হবে সেটা আপনিও যাচাই করতে পারেন। এজন্য হেয়ার কালার কেনার আগে দেখে নিন রংটি কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি।
- রাসায়নিক কোনো উপাদান থাকলে সেটি এড়িয়ে যান। সবসময় ভেষজ উপাদানসমৃদ্ধ রং বেছে নিন।
- চুলের প্রান্তের শেষ পর্যন্ত রং সঠিকভাবে পৌঁছাতে হবে। এটি করতে চিরুনি দিয়ে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। তারপর কালার করুন। এভাবে পুরো চুলটাই সঠিকভাবে রং করতে পারবেন।
- যে কোনো রং দেখলেই তা চুলে ব্যবহার করতে যাবেন না। স্কিনটোনের সঙ্গে মানানসই হেয়ার কালার করুন।ওয়ার্ম স্কিন টোনের সঙ্গে হলুদ, কমলা, কপার বা ইটের কালার মানানসই হয়। যাদের স্কিনটোন অপেক্ষাকৃত ডার্ক। তারা নীল, সবুজ ও গোলাপি জাতীয় কালার করাতে পারেন।
- পাকা চুলগুলো রং করতে চাইলে বেছে বেছে শুধু সেগুলোতেই কালার প্যাক ব্যবহার করুন। পুরো চুলে লাগাতে যাবেন না।
প্রাকৃতিক উপাদানে চুলে কালার করার পদ্ধতি
প্রাকৃতিক উপাদানে চুলে কালার করার নানারকম পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে বেশ সহজ ও জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হল :

মেহেদি পাতা
চুলে রং করার সব চেয়ে পুরোনো পদ্ধতি হলো মেহেদি পাতা। হাফ কাপ মেহেদি পাতা বেটে নিয়ে এর সঙ্গে এক কাপ পানির চার ভাগের এক ভাগ মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চা
চায়ের পানি দিয়ে চুল রং করতে পারেন। এর জন্য তিন টেবিল চামচ চায়ের পাতা এক ঘণ্টা গরম করে ভালো করে ঠান্ডা করুন। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার চায়ের পানি দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর নরমাল পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলে লালচে রং করতে এই পানি বেশ কাজ করে।
কফি
এটার জন্য কফির গুঁড়া আধঘণ্টা গরম পানিতে আগে ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে ওই পানিটা ছেঁকে আলাদা করে নিন। নরমাল ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এতে কিছুটা কন্ডিশনার মিশিয়ে চুলে স্প্রে করে দিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল কফির রং পায়।
আখরোট
চুলে কালচে লাল রং করতে চাইলে আখরোট এর ব্যবহার করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ গুঁড়ো করা আখরোট চার কাপ পানির মধ্যে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর সারা রাত রেখে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।
দারুচিনি ও লবঙ্গ
চুলে গাঢ় বাদামি রং করতে চাইলে দারুচিনি ও লবঙ্গ ব্যবহার বেশ কার্যকরী। এক চা চামচ দারুচিনি ও এক চা চামচ লবঙ্গ একসঙ্গে চুলায় পানির মধ্যে দিয়ে গরম করুন। এক ঘণ্টা পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে থাকুন। তারপর শ্যাম্পু করে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
বিটরুট
যদি চুলে হালকা লাল রং পেতে চান। তা হলে বিটের রস একটা স্প্রে করার বোতলে ভরে নিয়ে এই বিটের রস চুলে স্প্রে করে অন্তত ৩ ঘণ্টা রেখে দিন। চুল ভালোমতো শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চুলে কালার করলে কি কি ক্ষতি হয় ?
চুলের কালার এমন একটা পণ্য যেটা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরী করা হয়। এটি ব্যবহার করার পরে চুলের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তন করে দেয়। চুলের কালার বিভিন্ন প্রকারের হয়। স্থায়ী, আধা-স্থায়ী এবং অস্থায়ী ইত্যাদি। এসব কালারে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় বলে এটির ব্যবহার সরাসরি স্বাস্থ্যের উপর নানান ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চুলের কালার ব্যবহার করার সম্ভাব্য কিছু ঝুঁকি নিচে দেওয়া হল।
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া
চুলের কালারে এমন সব উপাদান থাকতে পারে যা নিমিষেই কিছু লোকের মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেমন চুলকানি, ফোলাভাব, লালভাব বা মাথার ত্বকে বা ত্বকে ফুসকুড়ি উঠা ইত্যাদি। চুলের কালারে সবচেয়ে সাধারণ অ্যালার্জেন গুলির মধ্যে একটি হল প্যারাফেনিলেনডিয়ামাইন (PPD),যা স্থায়ী চুলের রঞ্জকগুলিতে ব্যবহৃত হয়। PPD অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা একটি জীবন-হুমকিপূর্ণ অবস্থা হয়। যার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
ক্যান্সার সৃষ্টি
কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে চুলের কালার নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন মূত্রাশয় ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং নন-হজকিন লিম্ফোমা (NHL) ইত্যাদি। চুলের রঞ্জকগুলিতে কার্সিনোজেনিক রাসায়নিকের সংস্পর্শের কারণেও এটি হতে পারে। যেমন সুগন্ধযুক্ত অ্যামাইন, যা স্থায়ী চুলের রঞ্জকগুলির পুরানো ফর্মুলেশনগুলিতে আগে ব্যবহৃত হতো। তবে প্রমাণটি চূড়ান্ত নয় এবং চুলের রং এবং ক্যান্সারের মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে।
চুলের ক্ষতিসাধন
চুলের রং চুলের গুণমান এবং গঠনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যেটা চুলকে শুষ্ক, ভঙ্গুর প্রবণ করে তোলে। এর কারণ হল চুলের কালার চুলের শ্যাফ্টের ভিতরের প্রাকৃতিক রঞ্জক এবং প্রোটিনকে পরিবর্তন করে ফেলে, যা সময়ের সাথে সাথে তাদের দুর্বল করতে পারে। চুলের কালার মাথার ত্বক এবং চুল থেকে প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতাও ছিনিয়ে নিতে পারে, যার ফলে জ্বালাপোড়া বা খুশকি হতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
চুলের কালার পরিবেশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এতে রাসায়নিক উপাদান থাকে যা ধুয়ে ফেলা বা নিষ্পত্তি করার সময় জল এবং মাটিকে দূষিত করতে পারে। এই রাসায়নিকগুলির মধ্যে কিছু জলজ জীব ও উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত বা ক্ষতিকারক হতে পারে। চুলের কালার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে চুলে কালার তৈরি বা পরিবহণ করার মাধ্যমে হয়ে থাকে।
কালার চুলের ক্ষতি কমাতে যত্ন কীভাবে নিতে হয়?
চুলের কালার ব্যবহার করার সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে আপনি নিম্নলিখিত টিপস বিবেচনা করতে পারেন যেটা আপনার চুল ও স্বাস্থ্য কে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে

অর্গানিক চুলের রং ব্যবহার
প্রাকৃতিক বা জৈব চুলের রং উদ্ভিদ-ভিত্তিক উপাদান থেকে তৈরি করা হয়। যেগুলোর অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। এগুলি সিন্থেটিক চুলের রঙের চেয়ে আরও পরিবেশ-বান্ধব হয় এবং জৈব-বিক্ষয়যোগ্য হতে পারে। তবে প্রাকৃতিক বা জৈব চুলের রংগুলি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে অথবা সিন্থেটিকগুলির মতো কার্যকর হয় না না।
নতুন পণ্য ব্যবহার করার আগে একটি প্যাঁচ পরীক্ষা
প্যাঁচ পরীক্ষা হল আপনার ত্বকের লুকানো অংশে যেমন আপনার কানের পিছনে বা আপনার ভিতরের কনুইতে সামান্য পরিমাণ প্রয়োগ করে কোনও পণ্যে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা তা পরীক্ষা করার উপায়। আপনি যদি 48 ঘণ্টার মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কোনও লক্ষণ পান। যেমন চুলকানি, ফোলাভাব, লালভাব বা ফোসকা তৈরি করেন তবে আপনার পণ্যটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
নির্দেশাবলি গুলি সাবধানে অনুসরণ করা
পণ্যটি ব্যবহার করার আগে আপনাকে সর্বদা তার লেবেলের নির্দেশাবলি পড়তে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে। পণ্যটি প্রয়োগ করার সময় আপনার গ্লাভস পরা উচিত এবং আপনার চোখ বা মুখের সাথে যোগাযোগ এড়ানো উচিত। রং করার পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পরে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্যবহারের সময়কাল সীমিত করা
প্রস্তুতকারক বা আপনার চুলের স্টাইলিস্টের সুপারিশের চেয়ে বেশি ঘন ঘন চুলের কালার ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার চুলে পণ্যটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ধরে রাখা এড়ানো উচিত। কারণ এটি বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
চুলের জন্য সঠিক যত্ন এবং সুরক্ষা ব্যবহার
আপনার রঙিন চুলের জন্য উপযুক্ত মৃদু শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। চুলের ক্ষতি করতে পারে এমন অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং বা ব্রাশিং এড়ানো উচিত। চুলের জন্য একটি টুপি পরা বা আপনার চুলের জন্য সানস্ক্রিন পণ্য ব্যবহার করে আপনার চুলকে সূর্যের ক্ষতিকর রোশনি থেকে রক্ষা করা উচিত।
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে চুলের রং কতটা ক্ষতিকর এবং কীভাবে সেগুলি নিরাপদে ব্যবহার করা যায়৷